প্রেসার কমানোর উপায় - Sταγ Cιozε

Latest

Let's turn to your real life.

World: Confirmed cases 9827590, Deaths 494470, Countries 202 China: Cases 83462, Death 4634 Italy: Cases 239961, Death 34708 USA: Cases 2538867, Death 127299 India: Cases 509446, Death 15689 Bangladesh: Cases 130474, Death 1661 Bahrain: Cases 24081, Death 73 Saudi Arabia: Cases 174577, Death 1474 Qatar: Cases 92784, Death 109 United Arab Emarite: Cases 46973, Death 310 Oman: Cases 36034, Death 153

Find out

Tuesday, May 2, 2017

প্রেসার কমানোর উপায়

হাই প্রেশারের ঘরোয়া সমাধানঃ

কলাঃ
কলা এমন একটি ফল যা ব্লাড প্রেশারের রোগীরা প্রেশার কন্ট্রোল করার জন্য প্রতিদিন খেতে পারেন। কলাতে থাকা পটাসিয়াম প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সাথে কলাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম উপরন্তু কোলেস্টেরল ফ্রি। হাইপারটেনশনের পাঠকেরা আপনারা প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন।

রসুনঃ
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়াতে এক স্টাডিতে পাওয়া গিয়েছে যে রসুন প্রেশারের রোগীদের জন্য ওষুধ স্বরূপ কাজ করে, কারণ এটি প্রাকৃতিক ভাবেই কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় তাই প্রেশারও কমে যায়। চিবানো রসুন হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি করে, যা ব্লাড ফ্লো সঠিক রাখে, গ্যাস দূর করে এবং হার্টের উপর থেকে প্রেশার কমিয়ে আনে। প্রতিদিন রান্না অথবা কাঁচা এক কোয়া রসুন আপনার জন্য যথেষ্ট।

কাঁচা বাদামঃ
কাঁচা বাদাম মানে যে বাদামটি বালুতে ভাঁজা হয়নি। প্রতিদিন ৪-৫ টি কাঁচা বাদাম আপনাকে রাখবে প্রেশার থেকে কয়েকশ হাত দূরে। কাঁচা বাদামে আছে monosaturated ফ্যাট। প্রমাণিত হয়েছে এই ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে সেই সঙ্গে arterial inflammation ও কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে আপনি থাকেন লোয়ার ব্লাড প্রেসার লেভেলের আওতায়।

ডাবের পানিঃ
ডাবের পানিতে আছে পটাশিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইট এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েণ্ট। কিছুদিন আগে West Indian Medical Journal এ পাবলিশ হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে স্টাডিতে অংশ নেয়া ৭১% সিসষ্টলিক প্রেশার কমে গিয়েছিল আর ২৯ জনের ডায়াষ্টলিক প্রেশার কমে গিয়েছিলো নিয়মিত ডাবের পানি পান করার কারণে।

হাই ব্লাড প্রেসার প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই খাবারে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলালেবু, কলা, টমেটো, ডাবের পানি খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, লো ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন বাটারমিল্ক, ফ্যাটমুক্ত দই, আইসক্রিম ও লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার, যেমন মুড়ি খেতে পারেন। প্রতিদিন খাবারে সোডিয়াম ইনটেক ২ দশমিক ৪ গ্রামের মধ্যেই রাখুন। হাই ব্লাড প্রেসারে বেশি লবণ খেতে পারবেন না। কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার যেমন ক্রিম, মাংস, ডিমের কুসুম, মাখন, ফ্রেঞ্জ ফ্রাইজ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। সল্টেড বাটার, চিপস জাতীয় খাবার না খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড প্রেসার। ড্রিপ ফ্রায়েড খাবার, জাংক ফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

- লেবু ব্লাড প্রেসার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা লেবুর রস সমান পানিতে মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো। খাবারের মধ্যেও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম আছে সেসব খাবার ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন আলুবোখারা, আম, সবুজ মুগ ডাল, মিষ্টি আলু, পালং শাক, বেগুন জাতীয় খাবার শরীরে লবণ ও ফ্লুয়িড ব্যালেন্স বজায় রেখে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
-শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তাহলে হাইপারটেনশনের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত শাকসবজি, তিল, কমলালেবু, মেথি, ধনেপাতা, ফুলকপি, গাজর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- রসুন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- শসা ও ভেজিটেবল জুস বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- পেঁয়াজে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিজেন ফ্লাডানয়েড থাকে, যা ব্লাড প্রেসার কমাতে সহায্য করে।

রান্না করা খাবারে সোডিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তার ওপর কাঁচা লবণ খেলে ব্লাড প্রেসার বেশি মাত্রায় বেড়ে যায়। আমাদের শরীরে ১ চা চামচ লবণই যথেষ্ট। কাঁচা লবণ ছাড়াও অন্যান্য খাবারের মধ্যে সোডিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। কিছু পাউডার, সোডিয়াম বাই কার্বোনেট ইত্যাদি খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। রেডিমেড আচার, ব্রেড, বিস্কুট, বিভিন্ন ধরনের সস, স্যুপ, সল্টেড বাদাম, পপকর্ন ধরনের খাবারে সোডিয়াম থাকে। তেল, ঘি, মসলা এড়িয়ে চলতে পারলে আরও ভালো হয়। অ্যালকোহল, চা, কফি কম পরিমাণে খেতে হবে। এতে ব্লাড প্রেসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।ফ্যাট জাতীয় খাবার কখনোই খাবেন না।

No comments:

Post a Comment